ঢাকা: আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, মামলা জট কমাতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

বিচারকের সংখ্যা বৃদ্ধিসহ সরকার বিচার বিভাগের জন্য বিভিন্ন লজিস্টিক সুবিধা বৃদ্ধি করেছে উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, মামলা জট কমানোর গুরু দায়িত্ব বিচারকের। বিচারকদের আরো উদ্যোগী হতে হবে।

রোববার ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটদের জন্য আয়োজিত ১৪৫তম রিফ্রেশার কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার বক্তব্য দেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, বাক স্বাধীনতা ও সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা বন্ধ করার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়নি। ডিজিটাল মাধ্যমে যেসব অপরাধ হচ্ছে, সেগুলো দমন করার জন্য এই আইন করা হয়েছে।

আইনমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারির মধ্যেও জনগণের ন্যায়বিচার নিশ্চিতে আদালত সচল রাখা হয়েছে। অধ্যাদেশ জারি করে ভার্চুয়াল আদালত পরিচালনা করা হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ডাটা সুরক্ষা আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে স্টেকহোল্ডারদের যৌক্তিক পরামর্শ অবশ্যই গ্রহণ করা হবে।

তিনি জানান, ডাটা সুরক্ষা আইনের খসড়া চূড়ান্তকরণের আগে সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধি, ব্যবসায়িক প্রতিনিধিসহ অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করে আলোচনা করা হবে। এর আগে তিনি জুন মাসের এক তারিখে আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন বলেও জানান।

আইনমন্ত্রী বলেন, বিশ্বে ডাটা সুরক্ষার ব্যাপারে কি কি আইন আছে, সেগুলো পর্যালোচনা করা হচ্ছে। সবার কাছে গ্রহণযোগ্য এবং যে উদ্দেশ্যে আইনটি প্রণয়ন করা হচ্ছে, সেই উদ্দেশ্য যেন সাধিত হয় তা নিশ্চিত করা হবে।