Shehab Munawar প্রকাশিত: ১৬ মে, ২০২২, ০৮:৪৩ পিএম
চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মুনাফা কিছুটা বেড়েছে। একটি ব্যাংক বাদে এ খাতের সাকুল্যে (লাভ ও লোকসান মিলে) নিট মুনাফা হয়েছে দুই হাজার ৭১ কোটি টাকা, যা গত বছরের তুলনায় টাকার অঙ্কে সাড়ে ৬২ কোটি টাকা বা ৩ দশমিক ১১ শতাংশ বেশি। তবে শুধু লাভে থাকা ব্যাংকগুলোর মুনাফা বেড়েছে প্রায় ৮ শতাংশ।
বর্তমানে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক ৩৩টি। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মোট ৩২টি ব্যাংক জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। শুধু রূপালী ব্যাংক এখনও প্রকাশ করেনি। প্রথম প্রান্তিকে ৩০ ব্যাংক নিট মুনাফার তথ্য দিয়েছে। এদের সম্মিলিত মুনাফা ২ হাজার ১৩৮ কোটি টাকা, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ১ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা। বেড়েছে ৭ দশমিক ৯৬ শতাংশ। বরাবরের মতো আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক লোকসানে রয়েছে। এবার যুক্ত হয়েছে ন্যাশনাল ব্যাংক। মুনাফায় থাকা ৩০ ব্যাংকের মধ্যে ২২টির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে। কমেছে ২২টির।
গত বছর যেসব ব্যাংকের ইপিএস কম ছিল, তাদের কারও কারও এবার বেড়েছে তুলনামূলক বেশি। এক্সিম ব্যাংকের গত বছরের প্রথম প্রান্তিকের ইপিএস ছিল মাত্র ৫ পয়সা, যা এ বছর ২৫ পয়সা হয়েছে। সাউথবাংলার ইপিএস হয়েছে ২২ পয়সা, যা গত বছর ছিল ১১ পয়সা। আল-আরাফাহ্, ফার্স্ট সিকিউরিটি, শাহ্জালাল, ইউনিয়ন এবং মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ইপিএস গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪০ থেকে ৮০ শতাংশ বেড়েছে। এর মধ্যে আবার এনআরবিসির ইপিএস বেড়েছে ১১২ শতাংশ। ব্যাংকটির গত বছরের প্রথম প্রান্তিকের ইপিএস ছিল ৪২ পয়সা, যা এ বছর ৮৯ পয়সা হয়েছে। গত বছর মুনাফায় থাকা ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ করেছে ন্যাশনাল ব্যাংক। প্রথম প্রজন্মের এ ব্যাংকটি গত বছরের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি ১২ পয়সা মুনাফা করেছিল। এ বছর ১৮ পয়সা লোকসান করেছে।
এদিকে আইএফআইসির ইপিএস কমেছে সবচেয়ে বেশি। ব্যাংকটির ইপিএস ৪৪ পয়সা থেকে ১৯ পয়সায় নেমেছে। সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ৩১ পয়সা থেকে ১৪ পয়সায়, ওয়ান ব্যাংকের ৭৯ পয়সা থেকে ৪৫ পয়সায় এবং ইউসিবির ইপিএস ৩৮ পয়সা থেকে ২৬ পয়সায় নেমেছে। প্রাইম ব্যাংকের ইপিএস হয়েছে ৯২ পয়সা, যা গত বছর ছিল ১ টাকা ৩৪ পয়সা। ইপিএস কমার তালিকায় আরও আছে দি সিটি এবং স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক।
ইপিএস সবেচয়ে বেশি হয়েছে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ১ টাকা ৭৭ পয়সা। ১ টাকা ৭২ পয়সা ইপিএস নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে যমুনা ব্যাংক। এর পরে রয়েছে সাউথইস্ট, ইস্টার্ন, ট্রাস্ট, পূবালী এবং ব্যাংক এশিয়া। টাকার অঙ্কে সর্বাধিক ১৫৬ কোটি টাকার নিট মুনাফা হয়েছে সাউথইস্ট ব্যাংকের, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ১৪৪ কোটি টাকা। ১২৯ কোটি টাকার নিট মুনাফা নিয়ে এর পরের অবস্থানে যমুনা ব্যাংক। ১২৪ কোটি টাকার নিট মুনাফা হয়েছে ব্যাংক এশিয়ার। পূবালীর নিট মুনাফা হয়েছে ১২২ কোটি টাকা। ১০০ থেকে ১২০ কোটি টাকার মুনাফা নিয়ে এর পরের অবস্থানে ইস্টার্ন, ডাচ্-বাংলা, ব্র্যাক, প্রাইম এবং শাহজালাল ইসলামী। মুনাফায় থাকা স্ট্যান্ডার্ড এবং সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের নিট মুনাফা ১৪ কোটি টাকার কম।