আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: আবারো বাড়ানো হয়েছে পাকিস্তানে পেট্রল-ডিজেলের দাম। এবার পেট্রলের দাম লিটারে ২৪ রুপি বাড়ানো হয়েছে। ডিজেলের দাম লিটারে বাড়ানো হয়েছে ১৬ রুপির বেশি।
বুধবার ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল দেশটিতে পেট্রল-ডিজেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেন। অর্থনৈতিক সংকটে থাকা পাকিস্তানে এ নিয়ে মাত্র ২০ দিনের মধ্যে তৃতীয়বারের মতো পেট্রল-ডিজেলের দাম বাড়ানো হলো।
পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, স্থানীয় সময় বুধবার মধ্যরাত থেকেই পেট্রল-ডিজেলের বর্ধিত দাম কার্যকর হওয়ার কথা।
নতুন করে ২৪ দশমিক শূন্য ৩ রুপি বাড়ানোয় প্রতি লিটার পেট্রলের দাম দাঁড়িয়েছে ২৩৩ দশমিক ৮৯ রুপি। অন্যদিকে, ১৬ দশমিক ৩১ রুপি বাড়ানোয় ডিজেলের দাম দাঁড়িয়েছে ২৬৩ দশমিক ৩১ রুপি। কেরোসিনের দামও বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে পাকিস্তান সরকার।
তৃতীয় দফায় সবচেয়ে বাড়ানো হয়েছে কেরোসিনের দাম। লিটারে ২৯ দশমিক ৪৯ রুপি দাম বাড়ানো হয়ে। এতে লিটারপ্রতি কেরোসিনের দাম দাঁড়িয়েছে ২১১ দশমিক ৪৩ রুপি। পাকিস্তান সরকার ২০ দিনে লিটারে পেট্রলের দাম ৮৪ রুপির বেশি বাড়িয়েছে।
পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল বলেন, জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজারমূল্যের প্রভাব তার দেশের ভোক্তাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া ছাড়া সরকারের আর কোনো উপায় নেই।
জ্বালানি তেলের আরেক দফা মূল্যবৃদ্ধির ব্যাখ্যা দিয়ে মিফতাহ ইসমাইল বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে পেট্রলের দাম ব্যারেলে ১২০ ডলার বেড়েছে। পাকিস্তানে পেট্রলে লিটারে ২৪ দশমিক শূন্য ৩ রুপি ভর্তুকি দিয়ে বিক্রি করা হচ্ছিল। অন্যদিকে, সরকার ডিজেলে লিটারে ৫৯ দশমিক ১৬ রুপি ও কেরোসিনে লিটারে ২৯ দশমিক ৪৯ রুপি ক্ষতির মুখে ছিল।
পাকিস্তান সরকার জ্বালানি তেলে ১২০ বিলিয়ন রুপি ভর্তুকি দিচ্ছে বলে জানান দেশটির অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল। তিনি বলেন, আমি ৩০ বছর ধরে দেশের পরিস্থিতি দেখে আসছি। তবে মুদ্রাস্ফীতির পরিপ্রেক্ষিতে এমন পরিস্থিতি আমি আগে কখনো দেখিনি।
পাকিস্তানের অর্থনীতির শোচনীয় অবস্থার জন্য ইমরান খান সরকারের গৃহীত নীতিকে দায়ী করেন মিফতাহ ইসমাইল।
গত এপ্রিলে পাকিস্তানের পার্লামেন্টে বিরোধীদের আনা অনাস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতা থেকে বিদায় নেন ইমরান খান। ইমরান খানের বিদায়ের পর শাহবাজ শরিফের নেতৃত্বে জোট সরকার গঠিত হয়।
প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে শাহবাজ শরিফ বলেন, ইমরান খানের সরকার পাকিস্তানের অর্থনীতিকে খুবই নাজুক অবস্থায় রেখে গেছে। দেশের অর্থনীতিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেয়াটা তার সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জের বিষয় হবে।