স্পোর্টস ডেস্ক:  আগামী ১৬ জুন থেকে শুরু হবে বাংলাদেশ-উইন্ডিজ টেস্ট সিরিজ। এরপর ওয়ানডে ও টি-২০ সিরিজেও মুখোমুখি হবে দুই দল। এর আগে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে পাকিস্তান সফরে গিয়েছিল ক্যারিবীয়রা। যেখানে সব ম্যাচ হেরে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে তারা।

প্রথম দুই ম্যাচ হেরে আগেই সিরিজ খুইয়েছিল উইন্ডিজ। শেষ ম্যাচে মুলতান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া পাকিস্তানের শুরুটা হয়েছিল দারুণ। দুই ওপেনার ফখর জামান এবং ইমাম-উল-হকের ব্যাটে ১৬.৪ ওভারে উদ্বোধনী জুটি থেকে আসে ৮৩ রান। তবে এরপরই কিছুটা ছন্দপতন ঘটে। 

৪৮ বল থেকে ৩৫ রান করে ফখর জামান ফিরে যান। এক প্রান্ত আগলে ইমাম ব্যাটিং চালিয়ে গেলেও অপরপ্রান্তে টিকতে পারছিলেন না কেউই। সব ফরম্যাট মিলিয়ে টানা রেকর্ড নয় ইনিংসে পঞ্চাশোর্ধ্ব রান করা পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম এদিন ফিরেছেন ম্যাট ১ রানে। 

১১৭ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা পাকিস্তানকে উদ্ধার করেছেন সিরিজের প্রথম ম্যাচে জয়ের নায়ক খুশদিল শাহ এবং অলরাউন্ডার শাদাব খান। ষষ্ঠ উইকেটে এই দুজনের ৯১ বলে ৮৪ রানের ইনিংসে ম্যাচে ফিরে আসে পাকিস্তান, স্কোরবোর্ডে তুলতে সক্ষম হয় সম্মানজনক সংগ্রহ।

৪০ তম ওভারে খুশদিল ৩৪ রান করে আকিল হোসেনের বলে ফিরলেও অপরপ্রান্তে ব্যাট হাতে ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস খেলেছেন। বৃষ্টির কারণে ইনিংসের দুই ওভার কমে না আসলে হয়ত ঠাণ্ডা মাথায় ক্যারিয়ারের প্রথম শতকটাও তুলে নিতে পারতেন।

শেষদিকে চালিয়ে খেলতে গিয়ে ইনিংসের শেষ ওভারে জেডেন সিলসের বল বোল্ড হয়ে তিনি ফেরেন ৭৮ বলে ৮৬ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে। তার ব্যাটে চড়েই শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ২৬৯ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান।

সফরকারীদের হয়ে বল হাতে চমক দেখিয়েছেন পার্ট-টাইম স্পিনার উইন্ডিজ অধিনায়ক নিকোলাস পুরান। মাত্র ৪৮ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নিয়ে পাকিস্তানের মিডল অর্ডার ধসের কারিগর ছিলেন তিনি।

২৭০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় উইন্ডিজ। দলীয় ২৫ রানেই হারায় ওপেনার কাইল মায়ার্সকে (১২ বলে ৫)। এরপর শেই হোপ (২৫ বলে ২১) এবং কিসি কার্টিদের (৪৫ বলে ৩৩) ছোট ছোট ইনিংসগুলোতে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছে সফরকারীরা।

তবে টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের ইনিংস বড় করতে না পারার ব্যর্থতা ভুগিয়েছে তাদের। শেষদিকে ৩৭ বলে ৬০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে উইন্ডিজ শিবিরে কিছুটা আশার সঞ্চার করেছিলেন আকিল। তবে দিনটা যে শাদাব খানের, আকিলের ঝড় থামিয়ে পাকিস্তানকে জয়ের দোরগোড়ায় নিয়ে যান তিনি।

ব্যাট হাতে ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলার পর বল হাতেও এদিন উজ্জ্বল ছিলেন শাদাব, ৯ ওভার বোলিং করে ৬২ রান দিয়ে তুলে নিয়েছেন ৪ উইকেট।